কেনার আগে এই বিষয়গুলো না জানলে ঠকে যেতে পারেন
আজকাল Wireless Earbuds প্রায় সবার দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—বাজারে Original এর নামে Fake ইয়ারবাডস ভরে গেছে। দেখতে প্রায় একই, দামও কম, কিন্তু ব্যবহার শুরু করলেই আসল পার্থক্য ধরা পড়ে।
চলুন সহজভাবে বুঝি, Original আর Fake Earbuds চেনার উপায়।
1️⃣ দাম অস্বাভাবিক কম হলে সাবধান
একটা জিনিস যদি বাজার দামের থেকে অস্বাভাবিক কমে পাওয়া যায়, সেখানে প্রশ্ন থাকবেই।
উদাহরণ হিসেবে ধরুন—
যে OnePlus Z3 সাধারণত 2500–2700 টাকার, সেটা যদি 1200 বা 1800 টাকায় পাওয়া যায়, তাহলে সেটার Original হওয়া প্রায় অসম্ভব।
কম দামে ভালো জিনিস পাওয়া যায়,
কিন্তু অবিশ্বাস্য কম দামে Original না-ই বললেই চলে।
2️⃣ প্যাকেজিং আর প্রিন্ট কোয়ালিটি দেখুন
Original Earbuds-এর বক্স সাধারণত হয়
– পরিষ্কার প্রিন্ট
– শার্প লেখা
– বানান ভুল নেই
– সিরিয়াল নম্বর বা QR কোড থাকে
Fake প্রোডাক্টে দেখা যায়
– হালকা রঙ
– লেখা ঝাপসা
– বানান ভুল
– QR কোড কাজ করে না
3️⃣ Sound Quality দিয়েই সবচেয়ে সহজে ধরা পড়ে
Original Earbuds-এর সাউন্ড হয়
– ব্যালেন্সড
– ক্লিয়ার
– লং টাইম শুনলেও কানে চাপ পড়ে না
Fake Earbuds-এ
– বেস কৃত্রিম
– ভলিউম বাড়ালে শব্দ ফেটে যায়
– কিছুক্ষণ পর কানে ব্যথা শুরু হয়
প্রথম ৫ মিনিটেই বোঝা যায়, জিনিসটা আসল না নকল।
4️⃣ Call Quality আর Mic টেস্ট করুন
অনেক Fake Earbuds-এ লেখা থাকে “HD Call”,
কিন্তু বাস্তবে কল করলে
– আওয়াজ কাটা যায়
– সামনে থাকা মানুষ ঠিকমতো শুনতে পায় না
Original Earbuds-এ
– Mic ক্লিয়ার
– রাস্তায় বা হালকা শব্দেও কথা বোঝা যায়
কল কোয়ালিটি হলো সবচেয়ে বড় পার্থক্য।
5️⃣ Battery Backup
Fake Earbuds সাধারণত বলে
“৪–৫ ঘন্টা প্লে টাইম”
কিন্তু বাস্তবে চলে
১–২ ঘন্টা, কখনো তারও কম।
Original Earbuds-এ
– ব্যাটারি Stable
– চার্জিং কেস ঠিকঠাক কাজ করে
– বারবার কানেকশন ড্রপ হয় না
ব্যাটারি দুর্বল হলেই বুঝবেন—কিছু একটা গড়বড়।
6️⃣ কানেকশন আর Latency খেয়াল করুন
Fake Earbuds-এ
– বারবার ডিসকানেক্ট
– ভিডিও দেখলে লিপসিঙ্ক মেলে না
– গেম খেললে ভয়াবহ ডিলে হয়
Original Earbuds-এ
– কানেকশন ফাস্ট
– Low Latency ঠিকমতো কাজ করে
– ডেইলি ইউজে ঝামেলা নেই
7️⃣ বিশ্বস্ত জায়গা থেকে কিনুন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
রাস্তায়, ফেসবুকের অজানা পেজে,
বা “ভাই last piece” টাইপ সেলারের কাছে
Original পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
সবসময় চেষ্টা করুন
– পরিচিত ব্র্যান্ড
– নির্ভরযোগ্য শপ
– ওয়ারেন্টি বা সাপোর্ট আছে এমন জায়গা
